কুয়াকাটা হল পটুয়াখালি জেলার কলাপাড়া থানার লতাচাপলি ইউনিয়নে অবস্থিত। রাজধানী ঢাকা থেকে প্রায় ৩২০ কিলোমিটার এবং পটুয়াখালি জেলা শহর থেকে ৭০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। প্রথিবীর অন্যান্য সৈকতের মধ্যে এটি এমন একটি সৈকত যেখান থেকে সূর্যদয় এবং সূর্যাস্ত একই জায়গা থেকে দেখা যায়। কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতটি ১৮ কিলোমিটার দীর্ঘ একটি সৈকত। সূর্যদয়ের সবচেয়ে ভাল দৃশ্য দেখতে হলে যেতে হবে সৈকতের পূর্বদিকে গঙ্গামতির বাকে। অন্যদিকে সূর্যাস্ত দেখতে হলে চলে যেতে হবে পশ্চিম সৈকতে। কুয়াকাটার অনিন্দ্যসুন্দর সমুদ্র সৈকত, দিগন্ত বিস্মিৃত নীল আকাশ, নান্দনিক বেলাভূমি এবং সবুজ অরন্য কুয়াকাটাকে করেছে সীমাহীন সৌন্দর্যের আধাঁর।
সৈকতে
সারা বছর পর্যটকদের ভ্রমনে মুখরিত থাকে পাশাপাশি বিশাল সাগরে জেলেদের মাছ ধরার অপূর্ব দৃশ্য আপনাকে বিমহিত করবে সারাক্ষন। এছাড়া কুয়াকাটা ঘুরার জন্য মটরসাইকেল, অটো ছাড়াও বিভিন্ন ধরনের গাড়ি পাওয়া যায়।
কুয়াকাটার দর্শনীয় স্থানসমূহ
১. কুয়াকাটা বৌদ্ধমন্দির
২. শতবর্ষি নৌকা
৩. কাউয়ার চর
৪. গঙ্গামতির চর
৫. কুয়াকাটার কুয়া
৬. কুয়াকাটা জাতীয় উদ্যান
৭. ঝাউবন
৮. লাল কাকড়াঁর চর।
৯. রূপালি দ্বীপ বৌদ্ধ বিহার
১০. মিষ্টি পানির কুপ
১১. রাখাইন পল্লী বার্মিজ মার্কেট।
১২. লেবুর চর।
১৩. ঝিনুক বীচ।
১৪. ফাতরার বন।
কিভাবে যাবেন কুয়াকাটা
ঢাকা থেকে কুয়াকাটা জল পথে এবং স্থল পথে উভয়ভাবেই যাওয়া যায়। তবে একটু আরাম করে যেতে চাইলে অবশ্যই নদী পথ সবচেয়ে উত্তম।
নদী পথে লঞ্চে সদরঘাট থেকে পটুয়াখালি হয়ে কুয়াকাটা
প্রতিদিন বিকালে সদরঘাট লঞ্চ ঘাট থেকে পটুয়াখালির উদ্দেশ্য অনেকগুলো লঞ্চ ছেড়ে যায় যেমন সুন্দরবন -৯, সুন্দরবন -১১, কুয়াকাটা -১ ইত্যাদি। পরদিন সকালে নামতে পারেন আমতলি লঞ্চঘাট অথবা পটুয়াখালি লঞ্চ ঘাট সেখান থেকে অটোতে করে বাসস্ট্যান্ডে গিয়ে বাসে করে কুযাকাটা যেতে পারবেন অনায়াসে।
ঢাকা থেকে লঞ্চে বরিশাল হয়ে কুয়াকাটা
ঢাকার সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল থেকে প্রতিদিন একাধিক লঞ্চ বরিশালের উদ্দেশ্য ছেড়ে যায়। বরিশাল লঞ্চ ঘাট থেকে রূপাতলি বাসস্ট্যান্ড গিয়ে বাসে করে কুয়াকাটা । ৩ ঘন্টার মত সময় লাগে কুয়াকাটা পৌছাতে । উল্লেখ্যযে, বর্তমানে পদ্মা সেতু হয়ে যাওয়ায় লঞ্চ চলাচলের পরিমান অনেক কমে গেছে। তাই লঞ্চে যেতে হলে অবশ্যই আগে থেকে খোজ খবর নিয়ে যাবেন।
বাসে ঢাকা থেকে কুয়াকাটা
ঢাকার গাবতলী বাস টার্মিনাল এবং অন্যান্য টার্মিনাল থেকে প্রতিদিন কুয়াকাটার উদ্দেশ্য বাস ছেড়ে যায়।
কুয়াকাটা কোথায় থাকবেন
পর্যটকদের থাকার জন্য কুয়াকাটাতে বিভিন্ন মানের অনেক আবাসিক হোটেল আছে। হোটেলের মানের উপর ভিত্তি করে এর ভাড়া নির্ধারিত হয়। সরকারী ছুটির দিন গুলিতে ঘুরতে গেলে অবশ্যই আগে থেকে হোটেল বুকিং দিবেন। অন্যথায় অনেক কষ্ট পোহাতে হবে হোটেল পেতে। অন্যদিন গুলোতে গেলে বুকিং দেওয়ার দরকার নাই এবং কম টাকায় রুম পেয়ে যাবেন।
কুয়াকাটায় খাবারের ব্যবস্থা
কুয়াকাটায় আবাসিক হোটেলগুলোতে তাদের নিজস্ব রেষ্টুরেন্টে তাদের অতিথিদের খাবারের ব্যবস্থা করে থাকে। তাছাড়া স্থানীয় রেষ্টুরেন্টে বিভিন্ন ধরনের খাবার পাওয়া যায়। সমুদ্র সৈকতের আশেপাশে অনেক সামুদ্রিক মাছের দোকান আছে যেখানে বিভিন্ন ফ্রাই খেতে পারেন।
সতর্কতা
১. সময়ের সাথে সাথে সবকিছুর দাম পরিবর্তনশীল । তাই কোন কিছুরই দাম উল্লেখ করা হয়নি।
২. যেখানে সেখানে ময়লা ফেলে নোংড়া করবেন না কারন দেশ এবং প্রকৃতি আমাদের তাই তাকে সুন্দর এবং পরিস্কার রাখা আমাদের দায়িত্ব এবং কর্তব্য।
No comments:
Post a Comment